ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আজ রাতে মুখোমুখি হবে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ ও ফরাসি চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। লিসবনের দা লুজ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। ষষ্ঠ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার পাশাপাশি, দ্বিতীয় বারের মতো ট্রেবল জয়ের হাতছানি রয়েছে বাভারিয়ানদের সামনে।
অন্যদিকে, সাতবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ফরাসি জায়ান্টরা দাঁড়িয়ে নতুন ইতিহাস রচনার সামনে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল বায়ার্ন মিউনিখ। ৫ বার রানারআপের পাশাপাশি, ক্লাব ফুচটবলের সর্বোচ্চ এই আসেরর শিরোপা ৫ বার ঘরে তুলেছে বাভারিয়ানরা। তাদের উপরে রয়েছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান ও লিভারপুল।
এবারের আসরে শিরোপা ঘরে তুলেতে পারলে, ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন অলরেডদের আসনে ভাগ বসাবে ডিয়েটার ফ্লিকের শিষ্যরা।
৭ বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা পাশাপাশি ট্রেবল জিতেছিলো বায়ার্ন। এবারো তাদের সামনে সুযোগ থাকছে দ্বিতীয়বারেরমত ট্রেবল জিতে বার্সেলোনার অনন্য রেকর্ডে ভাগ বসানোর।
সেমিফাইনালে বার্সাকে বিধ্বস্ত করা বায়ার্ন, এই আসরেই টটেনহমাকে ৭-২, বেলগ্রেডকে ৬-০ ও দুই লেগে চেলসিকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিত করেছিলো সেমির টিকেট। যা ইঙ্গিত করে বাভারিয়ানদের অপ্রতিরোধ্য ফর্মের দিকেই। ফাইনালে, পুরো ফিট একাদশ পাচ্ছেন ডিয়েটার ফ্লিক। যা ম্যাচের আগে নির্ভার রাখছে তাকে।
অন্যদিকে, টানা সপ্তমবার শেষ আট থেকে বাদ পড়া পিএসজির সামনে প্রথমবারের মতো সুযোগ এসেছে নতুন ইতিহাস রচনা করার। ঘরোয়া লিগে ২৮টি ট্রফির মধ্যে ২৪টিতেই নিজেদের নাম লিখলেও, ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ে কখনই সেরা হতে পারেনি লা পারসিয়ানরা। বায়ার্নকে হারাতে পারলে, পিএসজির প্রথম শিরোপার পাশাপাশি, ২৭ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা স্বাদে পাবে ফ্রান্স।
অভিজ্ঞতায় ঢেড় এগিয়ে বায়ার্ন। তবে, তারুণ্য নির্ভর পিএসজিও প্রস্তুত সেরাটা উজার করে দিতে। নেইমার, এমবাপ্পে, ডি মারিয়াদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী একাদশে ফিরতে পারেন মুল গোল রক্ষক কেইলর নাভাস। কুরজাওয়া ও গুয়ের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও, চোট কাটিয়ে ফিরেছেন মধ্যমাঠের পরীক্ষিত হাতিয়ার ভ্যারেত্তি। যা ম্যাচের আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে ফরাসি জায়ান্ট দের।